বি এস খতিয়ান যাচাই করুন
বি এস খতিয়ান হলো বাংলাদেশের সর্বশেষ ভূমি জরিপ থেকে প্রাপ্ত রেকর্ডের খতিয়ান। পূর্বের এস এ খতিয়ান অথবা আর এস খতিয়ানের ভুলগুলো সংশোধন করে জমির রেকর্ড আপডেট করে বি এস খতিয়ান প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই রেকর্ডের জরিপটি এখনও চলমান রয়েছে এবং অনলাইনে বি এস খতিয়ান যাচাই করা যায়।
মূলত বাংলাদেশের ঢাকা মহানগরে ১৯৯৮ সালে ভূমি জরিপ চালু করার পর থেকে এর সংশোধনী দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে সমগ্র বাংলাদেশে ভূমি জরিপ চালু করা হয়েছে। সেই জরিপকে বিএস খতিয়ান বলা হয়ে থাকে, যা বর্তমান সময় পর্যন্ত চলমান রয়েছে।
আমাদের দাদা-দাদির আমলের জমির রেকর্ড সংশোধিত হয়ে বর্তমানের বি এস রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত হবে। তাই অতীতের খতিয়ান গুলোর বর্তমানের আপডেট তথ্য জানতে অনলাইনে বি এস খতিয়ান যাচাই করে নিতে পারেন।
বিঃদ্রঃ বাংলাদেশের সকল এলাকার বি এস খতিয়ানের যাবতীয় রেকর্ড এখনো পর্যন্ত অনলাইনে আপলোড করা হয়নি। কারণ এটি একটি চলমান ভূমি জরিপ। হয়তোবা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সকল এলাকারই বি এস রেকর্ড অনলাইনে আপলোড করা হবে। তাই আপাতত আপনার এলাকার জমির বিএস পর্চা বা মৌজা তথ্য অনলাইনে না পেলে কিছুদিন অপেক্ষা করে পুনরায় চেষ্টা করতে পারেন।
বি এস খতিয়ান অনুসন্ধান করতে যা লাগবে
- আপনার জমির অবস্থান অনুসারে ঠিকানার জেলা, উপজেলা ও মৌজা ও বিভাগ।
- দাগ ও খতিয়ান নং/ মালিকের নাম।
আরও পড়ুনঃ
- ই খতিয়ান অনুসন্ধান করুন | e Khatian Check.
- অনলাইনে বি আর এস খতিয়ান যাচাই।
- অনলাইনে আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম।
বি এস খতিয়ান যাচাই অনলাইন
অনলাইনে বি এস খতিয়ান অনুসন্ধান করতে-
- সর্বপ্রথম https://dlrms.land.gov.bd/ লিংকে ভিজিট করুন
- সার্ভে খতিয়ান অপশন সিলেক্টেড রাখুন
- জমির বিভাগ> জেলা> উপজেলা> মৌজা ধারাবাহিকভাবে সিলেক্ট করুন
- খতিয়ানের ধরন অপশনে বি এস নির্বাচন করুন
- দাগ নম্বর বা খতিয়ান নম্বর দিয়ে অনুসন্ধান করুন
- কোন তথ্য না পেলে জমির মালিকের নাম লিখে খুঁজুন।
যদি ইতিমধ্যেই আপনার জমির তথ্য বি এস রেকর্ডে যুক্ত করা হয়ে থাকে, তাহলে খতিয়ানের সংক্ষিপ্ত রূপ দেখতে পারবেন। তারপর সেখান থেকে “বিস্তারিত” লেখা অপশন ক্লিক করে সম্পূর্ণ খতিয়ানটি ও মালিকানার তথ্য দেখে নিতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ খতিয়ান কি? খতিয়ান কত প্রকার ও কি কি?
অনলাইনে বি এস খতিয়ান যাচাই বা বি এস পর্চা অনুসন্ধান করার পর আপনি চাইলে খতিয়ান আবেদন করার মাধ্যমে অনলাইন কপি বা সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আবেদনের সময় বিকাশ/ নগদের মাধ্যমে ১০০ টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে।